আমাদের ওয়েবসাইটে হয়তো অনেকেই সংকোচবোধ থেকে লিখছেন না। ঠিকঠাকভাবে গুছিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারবেন না এই ভয় কাজ করছে। প্রথম প্রথম এই ভয় সবারই কাজ করে। সেজন্য ভয় পেয়ে থেমে যাবেন?
একবার ভাবুন তো… পড়ে যাবো এই ভয়ে একটা বাচ্চাকে যদি আটকিয়ে রাখতেন তাহলে সে কী কখনও হাঁটতে শিখতো?
ভয় কে জয় করুন
এই লেখাই কিন্তু আপনার পাঠক এবং আপনার চিন্তা-চেতনার মাঝে ব্রিজ হিসেবে কাজ করবে। লেখার দক্ষতা স্থির কোন জিনিস না। এটাকে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব। আবার চর্চা না করলে এই দক্ষতা হারিয়েও যায় এক সময়।
লেখার দক্ষতা বাড়ানোর খুব সহজ কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন –
১. প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়ুন এবং সেটা নিয়ে অল্প করে লেখার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি কোন ব্লগে বা ওয়েবসাইটে একটি লেখা পড়লেন, সেটা পড়ে আপনার মনে একটা অনুভূতি জন্মালো।
সেখানে মন্তব্য করুন। নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করুন। এতে জড়তাও কাটলো, লেখার অভ্যাসও হল। খুব কঠিন কাজ মনে হচ্ছে? একবার সাহস করে লিখেই ফেলুন তো। জলের মত সহজ মনে হবে।
২. এই ছোট ছোট মন্তব্যগুলো লিখতে লিখতেই দেখবেন আত্ববিশ্বাস ফিরে এসেছে। তখন লেখার পরিধি বাড়ান।
৩. সাহস করে একদিন একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন। সেখানে যে কমেন্টগুলো পাবেন, সেগুলোর উত্তর দিন। এভাবে আস্তে আস্তে পাঠকের মনোভাব, চাহিদাও বুঝতে শিখবেন।
৪. এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কি নিয়ে লিখব? এত টপিক কোথায় পাবো? সমাধান কিন্তু শুরুতেই বলেছি। পড়তে হবে। আপনার কাজ, ভালো লাগার জিনিস নিয়ে পড়াশুনা করুন। এখন তো গুগল মামা তথ্যের সরবরাহ সহজ করে দিয়েছে। আর বই তো রয়েছেই।
এছাড়া কারো কোন পোস্ট পড়ে সেই টপিকটা সম্পর্কে যদি জানার আগ্রহ বাড়ে, তাহলে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন। গঠনমূলক কমেন্টগুলোতে চোখ বুলান। দেখবেন লেখার টপিকের ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।
৫. খুব পুরাতন হলেও কার্যকরী একটা উপায় হচ্ছে নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করা। সারাদিনের বর্ণনা লিখতে হবে না, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা নিয়ে লিখুন। লেখার অভ্যাসও হল, সুন্দর স্মৃতিগুলো সংরক্ষণও করতে পারলেন।
ডায়েরীতে লিখতে না চাইলে ফোনের নোটপ্যাড তো আছেই। একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে ভুলবেন না যেন। পুরো সপ্তাহ শেষে লেখাগুলো একবার পড়ুন। পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন। নিজেকে যাচাই করতে পারলেন, আবার আত্মবিশ্বাসও বাড়লো।
সাহস করে আজই শুরু করুন। বাকির খাতাই ফাঁকি। শুভকামনা!