‘একটি চিন্তন’ – আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
শিক্ষা, একটি গুরুতর শব্দ। বানান ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে। জ্ঞান, এটিও এক হেভিওয়েট গুরুগম্ভীর শব্দ। এতেও বানান ভুলের আশঙ্কা থাকে। কাউকে হঠাৎ কোনো শিক্ষা বা জ্ঞান দিলে সে গ্রহণ করতে পারবে কি না ভাববার বিযয়।

মাছ খেতে কে না ভালবাসে! কিন্তু তাকে এমনি ফেলে রাখলো তো হবে না। তাকে সঠিক পদ্ধতিতে রাঁধতে হবে, সুচারুরূপে পরিবেশন করতে হবে মাছের লক্ষ, হাজার রেসিপি তৈরী করে রাখো। কেমন গুনীজনে হাপুস হুপুস করে চেটে খাবে।
এখন দেখা যাক বই এর বিষয়ে কি চর্চা করা! আজকাল শোনা যায়, অভিজ্ঞতাও বলছে কেই বই পড়তে চায় না। বলো যদি তাদের মানে জ্ঞান দেওয়া আর কি যে বই পড়া উচিত শিক্ষার আধার বই, কেউ শুনবে কি! সব পালিয়ে যাবে।
তাই করতে হবে বই কেও শোভন ভাবে পরিবেশন। সব বিষয়ে শিক্ষা নয়। যদি বলা যায়, “তোমাকে প্রেম করিতে হইবে, না হইলে তোমায় পিটাইয়া শেষ করিয়া ফেলা হবে।” হয় কি তা! কাউকে আদেশ করলে কি প্রেম করা যায়! প্রেম কি করা যায়! প্রেম তো হয়ে যায়! তখন আবার কেউ বলে, যদি এই সরে আয় ওখান থেকে, লোকে কি বলবে! সে সময় এই শিক্ষা কি কেউ কানে নেবে! যদি সে সত্যিই প্রেমে পড়ে যায়! জ্ঞান কাজে আসবে না তখন।
এখন ভাবো কেউ মনে করো বইপ্রেমে মজে গেলো! তাহলে কেমন হয়! অনেকটা দায়িত্ব মনে হয় লেখক, কবি, প্রবন্ধকারদের অধিক। আবার সেই লেখা বা রচনাগুলি যা অধিকাংশই পরিচ্ছন্ন, মার্জিত, শোভিতভাবে পান্ডুলিপি বদ্ধ হয়, তখন তার পরবর্তী গুরু দায়িত্ব থাকে সে গুলি মনোরমভাবে প্রকাশ করা ‘বই বাজারে’।
তাঁদের কর্তব্য যথাসাধ্য রুপে ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপার প্রতি প্রখর মনোযোগ থাকা। অর্থাৎ বই প্রকাশকের বিরাট দায়িত্ব। কিছুটা দায় বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পীর। বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে পাঠক (ক্রেতা) আকর্ষিত হয়ে ভাবেন, “দেখি এটা উল্টে, ভিতরে কি আছে?” তো অনেক কেল্লা ফতে!
একটি বই তার রচনাকার, প্রুফরিডার, প্রচ্ছদ শিল্পী তথা প্রকাশকের মিলিত পরিশ্রমের ফল হলেও সব চেয়ে বড় দক্ষতা তার রচনাকারেরই। এই ধারণা গুলি সবই আমার মনের মাধুরী মিশাইয়া বললাম। কারুর সঙ্গে মত না-ও মিলতে পারে।
কৃতজ্ঞতা
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






