গুজরাটকে হারিয়ে পঞ্চম আইপিএল শিরোপার দিকে এগোল চেন্নাই সুপার কিংস
প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচে গুজরাট কে ১৫ রানে হারিয়ে আইপিএলের ১৬ তম আসরের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস। ৮ বার ফাইনাল খেলার ইতিহাস গড়লো চেন্নাই, গুজরাট তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা থেকে এখন অনেক টা পিছিয়ে পড়লো।

আইপিএলে গুজরাট আসরের প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে আসছে। সবার আগে তারা কোয়ালিফাই নিশ্চিত করে ১৪ ম্যাচে ১০ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গুলো শেষ করে। এদিকে চেন্নাই ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা কোয়ালিফাই নিশ্চিত করে। ফলে প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচ হয় চেন্নাই বনাম গুজরাটের মধ্যে।
এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস তারা ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রানের পুঁজি গড়তে সক্ষম হয়। ওপেনিং করতে আসেন ঋতুরাজ গায়কওয়াড ও ডেভিড কনওয়ে তারা দুজনে মিলে একটি ভালো শুরুর আভাস দিয়ে যান। কিন্তু মাত্র ৫ রানে ঋতুরাজ গায়কওয়াড ক্যাচ দিয়ে বসেন। ভাগ্য তার পক্ষে ছিলো বলে বলটি নো বল হয়ে যায় ফলে ঋতুরাজ গায়কওয়াড বেঁচে যান। তিনি এর ফলে তিনি মাঠে আগ্রাসী ভাবে খেলতে শুরু করে দেন।
তিনি ৪৪ বলে ১৩৬ স্টাইকরেটে করেন ৬০ রান। ৭ চার এবং ১টি ছয়ের বিনিময়ে এ রান তিনি করে যান। তিনি আউট হয়ে গেলে মাঠে আসেন শিভাম দুবে ঋতুরাজ গায়কওয়াড আউট হওয়ার মাত্র ৩ রান যোগ করতেই ৯০ রানে চেন্নাই হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট। মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান শিভাম দুবে এতে করে চেন্নাই কিছুটা চাপে পড়ে যায়।
শিভাম দুবে আউট হয়ে গেলে মাঠে আসেন আজিনকিয়ার রাহানে তিনি দল কে মোটামুটি ভাবে চাপ থেকে মুক্ত করেন। মাত্র ১০ বলে খেলে করেন ১৭ রান এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। এদিকে সাবধানে খেলতে থাকেন ডেভিড কনওয়ে তিনি ম্যাচে ডট বল বেশি খেলেন ৩৪ বলে মাত্র ৪০ রান করেন তিনি। ৪০ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। শেষের দিকে এসে রায়ডুর ১৭ রান আর জাদেজার ২২ রানের উপর ভরে করে চেন্নাই ১৭২ রান করতে সক্ষম হয়।
আর গুজরাটের বোলাররা এদিন মোটামুটি ভালো বল করেন মোহাম্মাদ শামি আর মহিত শর্মা মিলে ৪টি উইকেট নেন বাকিরা ১টি করে উইকেট নেন। মোহাম্মদ শামির ইকোনমি রেট অনেক কম ছিলো।
১৭৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে ব্যাট করতে আসে গুজরাটের দুই ব্যাটার ঋদ্দিমান সাহা এবং গুভমান গিল। মাত্র ৩ ওভারেই ঋদ্দিমান সাহা তার উইকেট দিয়ে বসেন। তিনি আউট হলে মাঠে ব্যাট করতে আসেন গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তিনিও এ ম্যাচে মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। ফলে চাপে পড়ে যায় গুজরাট।
গুজরাটের ব্যাটাররা এদিন কেউই সুবিধা করতে পারেনি শুভমান গিলের ৪২ রান আর রাশিদ খানের ৩০ রান ব্যতীত কেউই তেমন রান করতে পারেনি ৬ জন ব্যাটার দুই সংখ্যার রান করতে পারেনি। এতে করে গুজরাট ২০ ওভারে ১০ উইকেট দিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে।
ফলে তারা ১৫ রানে হেরে তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা থেকে অনেক টা ছিটকে গেলো বলায় চলে। আর চেন্নাই আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো দেখার বিষয়। চেন্নাই কি পারবে তাদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলতে?
এখন দেখার বিষয় যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও লৌখনো এর মধ্যে কে জিতে এবং তাদের সাথে কি পারবে জিততে গুজরাট। তাদের দ্বিতীয় সুযোগ টা কি কাজে লাগাতে পারবে এখন সেটাও দেখার বিষয়।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও লৌখনো মধ্যেকার ম্যাচের ফলাফল ও বিস্তারিত জানতে ‘দ্য ব্যাকস্পেস জার্নাল’ এর সাথেই থাকুন।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






