ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে যা যা করবেন

ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু নেতিবাচক দিক যা থেকে দূরে থাকা উচিত। যেসকল কাজ না করলে ভালোবাসা আরো বেশি মজবুত হবে৷ ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী করতে যা যা করা যাবে না। এই ব্যাপারে জানতে পোস্ট টি পড়ুন।

অগাস্ট 8, 2023 - 12:00
অগাস্ট 8, 2023 - 12:53
 0
ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে যা যা করবেন
Alizeh Shah with Ali Abbas | Image Source: Daily Pakistan

ভালোবাসা এক অদ্ভুত শক্তি যার কারণে পুরা পৃথিবী টিকে আছে। ভালোলাগা থেকে শুরু হয় সর্ম্পক তার রেশ টেনে যায় ভালোবাসাতে আর সমাপ্তি হয় বিয়ে মাধ্যমে। স্বর্গতুল্য সর্ম্পক টিকে রাখার দায়িত্ব নারী-পুরুষ দুজনের।


এমন সুন্দর সর্ম্পক অনেক সময় মান অভিমানে কারনে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আর সেই বিভেদ-বিচ্ছেদের সুর হয়ে ওঠে। দুজনের ভালোবাসা যদি সত্যিকারে হয় তাহলে সকল বিভেদ ভুলে সুস্থ সর্ম্পক করবেন



ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে যা
যা করতে পারেন


অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করবেন না

ভালোবাসা গড়ে ওঠতে সম্মানও শ্রদ্ধা থাকা দরকার। এমন কোনো অসম্মানজনক ভাষা বলবেন না যার কারনে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা মনে কষ্ট পায়। কেউ যদি এ রকম ভাষা ব্যবহার করেও থাকেন, সেটা কখনো প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। বরং সে ব্যবহার করার জন্য আপনার সঙ্গীকে Sorry বলবেন।


বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না

একটা সর্ম্পক বিশ্বাস, সম্মান, শ্রদ্ধা মাধ্যমে শুরু হয়। আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস না করেন। তাহলে আপনার ভালোবাসা সঠিক নয়। সর্ম্পক হবে বিশ্বাসযোগ্য, পরস্পরের সহযোগিতামুলক। দুজনে মধ্যে বিশ্বাসের অভাব হলে সুসর্ম্পক নষ্ট হয়ে যায়। এরকম সর্ম্পক বহন না করাই ভালো।


যত্নশীল হতে হবে

ভালোবাসার অর্থ হলো, একে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া। পেশাগত কারনে অনেক প্রেমিক বা প্রেমিকা অফিসে কিংবা দূরে কোথায় থাকে, সেটা দেশে কিংবা বিদেশে। আপনার সঙ্গীর একটু খোঁজখবর নিলেই যত্নশীলতাই বিষয়টি প্রকাশ পায় দীর্ঘসময় খোঁজ না নিলে অযত্নের কারনে সর্ম্পকে ভাটা পড়ে যাবে। যা সর্ম্পকের জন্য খুব একটা ভালো হবে না।


গুরুত্ব দিন

ভালোবাসার মানুষকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। কোনো সম্পর্কে ভালোবাসার মানুষকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে গুরুত্ব দিলে, আপনার সর্ম্পক বাজে দিকে গড়াবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। ভালোবাসা হয়ে ওঠে সমানে সমানে। এটা মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।


অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে না

অনেক সঙ্গী আছেন যে তার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে একা কোথা যেতে দিতে চান না। অনেক সময় কাজের কৈফিয়ত চাইতে থাকেন। অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ মূলত আচরন প্রেমিক বা প্রেমিকার মন নষ্ট করে। এতে করে সর্ম্পকের ক্ষতি সাধন করেন।


আবেগ অনুভূতির অভাব ঘটা যাবে না

প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি আবেগ বা অনুভূতির ঘাটতি থাকা উচিত নয়। আবেগ থাকলে সর্ম্পক টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। আপনার যদি ভালোবাসার মানুষটির প্রতি সহানুভূতি বোধ না করেন তাহলে মনে রাখবে আপনার ভালোবাসায় ঘাটতি রয়েছে। এর কারনে আপনার সর্ম্পকে ফাটল ধরবে।


দায়িত্বহীন হওয়া যাবে না

জীবন সংসার চালাতে গিয়ে কাজ কর্ম করতে হবে। যদি কোনো পুরুষ মানুষ ব্যবসা কিংবা চাকরী করতে চায় না তাহলে বিষয়টি শুভ লক্ষন নয়। কর্মবিমুখ মানুষের মনে ভালোবাসা থাকলেও তা কখনো সফল হয় না।


সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন

যদি আপনার সঙ্গী খোলা মনে তার দুঃখ কষ্ট আপনার সাথে শেয়ার করে কিন্তু আপনি যদি তা মনোযোগ দিয়ে না শোনেন তাহলে আপনার সঙ্গীকে অবহেলা করা হবে। সর্ম্পকে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় এরকম আচরনের কারনে, এতে সম্পর্কের ক্ষতি হয়।


সঙ্গীর স্বপ্ন সত্যি করে তুলুন

প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন থাকে। আর সে স্বপ্ন পূরনে জন্য চেষ্টা করেন। সে সময় আর সঙ্গী তাকে সার্পোট না করেন। কিংবা ভালোবাসার মানুষের স্বপ্নকে অবজ্ঞা করেন, তাহলে সে সর্ম্পক ভাঙতে বাধ্য।

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow