দেশি মুরগি মাংস রান্নার রেসিপি

আজকের রেসিপি হলো দেশি মুরগি মাংস কষা করে রান্নার রেসিপি। এই রেসিপিতে দেশি মুরগির রান্না অনেক সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় কালার নিয়ে আসার সহজ পদ্ধতি।

অগাস্ট 21, 2023 - 16:29
সেপ্টেম্বর 6, 2023 - 16:58
 0
দেশি মুরগি মাংস রান্নার রেসিপি
দেশি মুরগি মাংস।। ছবি: Freepik

শুভেচ্ছা সবাইকে।

আজকের রেসিপি হলো দেশি মুরগি মাংস কষা করে রান্নার রেসিপি। এই রেসিপিতে দেশি মুরগির রান্না অনেক সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় কালার নিয়ে আসার সহজ পদ্ধতি। দেশি মুরগি সবারই পছন্দের খাবার এবং স্বাস্থ্যসম্মত। এই দেশি মুরগির মাংসে কোনরকম কোন সমস্যা এলার্জি ফ্যাট কিছুই নেই। এইজন্য এই দেশি মুরগি খেলে কোনরকম সমস্যাও হয় না। আমরা এবার সরাসরি রান্নায় চলে যাচ্ছি।

রান্নার পদ্ধতি:

মুরগির মাংস কষা রান্না করতে প্রথমে আমাদের মুরগি প্রয়োজন। দেশি মুরগি আমরা সাধারণত বাজার থেকে ছিলেই নিয়ে আসি। এরপর বাসায় শুধু পিস পিস করে কেটে নিতে হবে এবং ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হব। এক কেজি মাংস রান্নার জন্য আমরা সব কিছু তৈরি করবো। দেশি মুরগির মাংস প্রথমে আমরা মেয়োনেট করে নিব। মেরেনেট করার জন্য এক চামচ হলুদ, স্বাদ মত লবণ, দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল, দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিব, এই দেশি মুরগির মাংস  সিদ্ধ হতে একটু সময় লাগে এটা বয়লার মুরগির মত তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয় না। মাংস মেয়োনেট করে দশ মিনিটের মতো রেখে দিব। এবার পেঁয়াজ নিব। এক কেজি মাংসের জন্য চারটি পিঁয়াজ নিব। আর দুইটা পেঁয়াজ একদম পেস্ট করে নিতে হবে। এবার দিয়ে দিব আট দশটা কাঁচামরিচ কেটে দিতে হবে। দেশি মুরগির মাংস কষার জন্য দিয়ে দিব দুইটা আলু, আপনারা চাইলে আলু নাও দিতে পারেন।

এবার নিয়ে নিবো আদা রসুন বাটা, এরপর রসুনের কোয়া ছিলে নেব আট দশটা। রসুনের কোয়াগুলো পেস্ট করে নিব। এবার রান্নার জন্য একটি কড়ায় নিব কড়াইটি চুলায় উঠিয়ে দিব। কড়াই গরম হওয়ার পর দিয়ে দেবো সরিষার তেল পরিমান মত, তাতে দিয়ে দিব দুইটি তেজপাতা, এক চা চামচ গোটা জিরে, তার মধ্যে দিয়ে দিব কেটে রাখা কাঁচা মরিচ, এরপর ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। এগুলো ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিব পিয়াজ কুচি। এখানে পেঁয়াজ আমরা হালকা করে ভেজে নেব যখন দেখব পেঁয়াজটি হালকা নরম হয়ে এসেছে এর মধ্যে দিয়ে দিব মেয়োনেট করা দেশি মুরগির মাংস। এরপরে পেঁয়াজের সাথে মাংস ভালো করে মিশাতে হবে এভাবে দুই মিনিট ধরে রান্না করার পর এরমধ্যে দিয়ে দিব পেঁয়াজের পেস্ট এরপর দেখতে পাবেন পেঁয়াজের পেস্ট দেওয়ার পর পানি ছেড়েছে এবং বড় পেঁয়াজগুলো গলতে শুরু করেছে এতে মাংসটা মাখা মাখা হয়ে যাবে।

এ সময় এর মধ্যে কেটে রাখা আলু দিয়ে দিব এবং কিছুক্ষণ ভেজে নেব। ভাজতে ভাজতে এর মধ্যে দিয়ে দিব আদা রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়, গুড়া মরিচ, মসলাগুলো যদি আমরা আগেই দিয়ে দিতাম তাহলে কালারটা কালছে আসতো এই সুন্দর কালারটা আসতো না। এর মধ্যে দিয়ে দিব স্বাদমতো লবণ, দিয়ে দেওআর পরপরই দেখবেন পানি ছাড়তে লেগেছে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিব টমেটো চাকা করে রাখা এখানে আমি নিয়েছি তিনটা টমেটো। টমেটোটা যদি আমরা আগে দিতাম তাহলে মাংস সিদ্ধ হতে সময় লাগত বা ভালোভাবে সিদ্ধ হতো না এজন্য এই সময়ই টমেটো দিতে হবে। টমেটো দিয়ে দেওয়ার পর ভালো করে নেড়েচেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য।

এ সময় চুলার তাপটা একদম মিডিয়ামে রাখতে হবে। ঢাকা দাওয়ার চার থেকে পাঁচ মিনিট পর একবার নেরে দিতে হবে। এ নেরে দেওয়ার সময় দিয়ে দিব ধনিয়াগুরো এক চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, এবার ভালোভাবে মিশিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব ১০ মিনিটের জন্য। এবার দশ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখব অনেক পানি বের হয়েছে আর আলু সিদ্ধ হয়ে এসেছে। এবার একবারে রান্না করার জন্য দিয়ে দিব পরিমাণ মতো পানি এখানে পানি দেওয়ার বেশি প্রয়োজন নেই কারণ এটা অর্ধেক রান্না হয়েই গেছে। এবার পরিমাণ মতো পানি দেওয়ার পর ভালোভাবে ফুটিয়ে নেব। রান্না করেছি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত এরপর আমরা দেখতে পাবো মাংসের উপরে অনেক সুন্দর তেলগুলো উঠে এসেছে এবং ঝোল গুলো মাখা  মাখা হয়ে গেছে। এ পর্যায়ে আমাদের রান্না হয়ে গেছে।

এই রান্না করা অনেক সোজা শুধু টিপস গুলো ফলো করলেই হবে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনারা অবশ্যই বাসায় রান্না করে খাবেন দেশি মুরগির কষা মাংস।

ধন্যবাদ।       

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow