খোলা বাজারে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করা কি অপরাধ?

খোলা বাজারে ডলার কেনা-বেচা হলো একটি আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি ডলার ক্রয় করতে পারে বা ডলার বিক্রয় করতে পারে। এটি বাংলাদেশের মার্কেট বিশিষ্ট ক্রয়-বিক্রয়ের একটি অংশ।

জুন 27, 2023 - 13:00
জুন 27, 2023 - 22:28
 0
খোলা বাজারে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করা কি অপরাধ?
খোলা বাজারে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করা কি অপরাধ? | Image by jcomp on Freepik

খোলা বাজারে ডলার কেনা-বেচা হলো একটি আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি ডলার ক্রয় করতে পারে বা ডলার বিক্রয় করতে পারে। এটি বাংলাদেশের মার্কেট বিশিষ্ট ক্রয়-বিক্রয়ের একটি অংশ।


খোলা বাজারে কি ডলার কিনতে পাওয়া যায়?

খোলা বাজারে ডলার কিনা বেচা হয়। বাংলাদেশের খোলা বাজারে ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত নিয়ম ও নীতিমালা স্থাপন করছে। এই নীতিমালা অনুসারে ব্যবসায়ীদের ডলার ক্রয় ও বিক্রয় করতে হলে সরকারি অনুমোদন ও অনুমতি থাকতে হবে।


খোলা বাজারে ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের শর্তাবলী বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। তাই, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট শর্তাবলী অনুসরণ করে ডলার ক্রয় ও বিক্রয় হচ্ছে।


খোলা বাজারে টাকা দিয়ে ডলার কেনা কি অপরাধ?

বাংলাদেশে খোলা বাজারে ডলার ক্রয় এবং টাকা দিয়ে ডলার কেনা অপরাধ নয়। এটি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ নয়। সরকার দ্বারা ডলারের খোলা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আপনি যদি ডলার ক্রয় করতে চান এজন্য আপনার অনুমোদিত এবং নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করা উচিত।


তবে, অননুমোদিত কোনো মাধ্যমে ডলার ব্যবসা করা যাবে না। যেকোনো অব্যবস্থাপনা, অপপ্রচার, বা অনৈতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ডলার ক্রয় বা বিক্রয় করা হলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই, ডলার ক্রয় এবং টাকা দিয়ে ডলার কেনা এগুলো একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হতে হবে।


খোলাবাজারে কিভাবে ডলার বিক্রি করছে?

তারা প্রায়শই ডলার বিক্রয় করার জন্য নিম্নলিখিত কাজ অনুসরণ করে,


১. প্রোফাইল তৈরি: প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইটে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এই প্রোফাইলে আপনার কাজের ধর, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের সামগ্রিক বিবরণ ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।


২. ডলার রেট নির্ধারণ: ওয়েবসাইটে ডলার রেট নির্ধারণ করতে হবে। এটি আপনার ডলার বিক্রয়ের উপাত্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।


৩. উপাত্ত প্রদর্শন: আপনার উপাত্ত প্রদর্শন করতে হবে যাতে গ্রাহকরা আপনার কাজ দেখে ভালো লাগে এবং আপনার সাথে ডলার ক্রয়ের জন্য লিঙ্ক থেকে যোগাযোগ করতে পারে। ইত্যাদি



বাংলাদেশ ব্যাংক খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা
ব্যাপারে কি বলেছে?

বাংলাদেশ ব্যাংক খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা ব্যাপারে বিভিন্ন নীতিমালা এবং নির্দেশিকা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাপারে কিছু উল্লেখযোগ্য নির্দেশিকা প্রদান করেছে:


১. খোলাবাজারে ডলার ক্রয় ও বিক্রয় অথবা আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় আবেদন ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।


২. ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রাপ্ত ও নিবন্ধিত ডিলার ব্যবহার করতে হবে।


৩. খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচার জন্য নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে চলতে হবে, যেমন নির্দিষ্ট লেনদেনের পরিমাণ, ব্যাংকের পদ্ধতিতে লেনদেন করা, আদান-প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা ইত্যাদি।


৪. ডলার বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট রেট এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রয় করা, যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। ডলার কেনাবেচা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।



খোলা বাজারে ডলার লেনদেনের কারণে কি টাকা পাচার হচ্ছে
?

খোলা বাজারে ডলার লেনদেনের কারণে টাকা পাচার হচ্ছে। এটি অনেক বড় একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ডলার পাচারের কারণে দেশের মাথাপিছু আয় কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, একটি মানুষের প্রতিদিনের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে।


ব্যাংক ডলার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগ করে। কিন্তু তারপরেও খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচার কারণে টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত নীতি ও নিয়মাবলী লঙ্ঘন করে ডলার লেনদেন করে, তবে সেই সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আইন আছে।


পাচার হচ্ছে ডলার যা অনুমতি ছাড়াই লেনদেন করা হচ্ছে। এই ডলার লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সেই পরিস্থিতিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার যাতে এই ডলারের পাচার কম হয়ে যায় এবং মুদ্রাবিনিময় বাজার ঠিক থাকে।


টাকা পাচার প্রতিকারে কি করণীয়?

টাকা পাচার একটি গোপন অপরাধ। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে যদি টাকা পাচারের অভিযোগ আসে, তাহলে প্রথমে অপরাধ প্রমাণ করার জন্য পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


টাকা পাচার হলে প্রতিকারে আপনার নিম্নলিখিত কাজ অবলম্বন করা উচিত:


১. আইনের সহযোগিতা: যদি আপনি টাকা পাচারের অপরাধ সন্দেহ করেন, প্রথমেই আপনাকে পুলিশকে জানাতে হবে।


২. অপরাধকারীদের তথ্য সংগ্রহ: যদি আপনি টাকা পাচারের অপরাধের সন্দেহ করেন, তবে আপনাকে সেই ব্যক্তি বা সংস্থার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অপরাধকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য, প্রমাণসহ যেকোনও তথ্য সংগ্রহ করুন।


৩. আইনানুগ ব্যবস্থা: আপনার সন্দেহকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। স্থানীয় থানায় অভিযোগ করুন এবং অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন


এই সব কাজ করলে আপনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন যদি আপনি টাকা পাচারের অপরাধ প্রতিকার করতে চান। আইনগত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা এবং সম্পূর্ণ প্রমাণের সাথে আইনানুগ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া উচিত।

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

মো: রেজওয়ান ছাত্র, প্রাণিবিজ্ঞান, স্নাতক (২য় বর্ষ), গভ. শাহ সুলতান কলেজ, বগুড়া