স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবেন? জেনে নিন
স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের জীবনে একটি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে এখন পর্যন্ত দেশের অনেক ভোটাররা এই স্মার্ট কার্ডটি পাননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩ কোটি ব্লাঙ্ক কার্ড ক্রয় করেছেন। আর এই কার্ড বিতরণ করা হবে ২০২৩ সালের মধ্যে।

স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের জীবনে একটি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে এখন পর্যন্ত দেশের অনেক ভোটাররা এই স্মার্ট কার্ডটি পাননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩ কোটি ব্লাঙ্ক কার্ড ক্রয় করেছেন। আর এই কার্ড বিতরণ করা হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। আপনি যদি এই কার্ডটি না পেয়ে থাকেন তবে আপনিও জানতে পারবেন কিভাবে আপনি স্মার্ট কার্ডটি পাবেন।
স্কুল, কলেজ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, চাকরির ক্ষেত্রে, সিম উত্তোলনের ক্ষেত্রে মূলত অনেক ক্ষেত্রে এই স্মার্ট কার্ডটি প্রয়োজন। বাংলাদেশের নতুন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের মাধ্যম শুরু হওয়ার পর থেকে স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অনেক আকারে বেড়ে গিয়েছে।
কিন্তু প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি নিয়ে রয়েছে নানা রকমের ভোগান্তি। অনেকে সঠিক তথ্য না জানার কারণে স্মার্ট কার্ডটি হাতে পাচ্ছেন না। আবার দেখা যায় স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ চালু না হওয়ার কারণে ভোটাররা অনেকেই এখনো স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। আবার যারা স্মার্ট কার্ড সংশোধনের আবেদন করেছেন এখন পর্যন্ত তারা হাতে স্মার্ট কার্ডটি পাননি।
স্মার্ট কার্ড পাবো কিভাবে?
এছাড়াও আপনার এলাকাভিত্তিক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গণহারে স্মার্ট কার্ড বিতরণ হয়ে থাকে। আপনি সেখান থেকে স্মার্ট কার্ডটি পাবেন বা সংগ্রহ করতে পারেন। যদি আপনি সঠিক সময়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি হতে স্মার্টকার্ডটি সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনি উপজেলা নির্বাচন কমিশন থেকে কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারেন। গণহারে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষে অবিতরণকৃত কার্ডগুলো অফিস থেকেই দেওয়া হয়।
সব সময় মনে রাখবেন যদি আপনার স্মার্ট কার্ডটি হারিয়ে যায় তবে রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে। অন্যদিকে স্মার্ট কার্ডের কোন প্রকার ভুল থাকলে অথবা সংশোধন আবেদন করলে এর বিপরীতে স্মার্ট কার্ড নতুন করে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ নির্বাচন কমিশন আপাতত স্মার্ট কার্ড পুনর্মুদ্রণ করছে না।
এই অবস্থাটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। তাই স্মার্ট কার্ড সংশোধন বা রি-ইসু আবেদন করার মাধ্যমে আপনি লিমনিটিং কার্ড পাবেন। এটা দিয়ে আপনার যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে হবে।
আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা জানবেন কিভাবে?
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটটি হলো:
এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনার স্লিপ নাম্বার অথবা এন আই ডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দেওয়ার মাধ্যমে কার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে। যাদের স্মার্ট কার্ডের কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না তারা পুনরায় কিছুদিন অপেক্ষা করে আবার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন।
আপনি এসএমএস এর মাধ্যমেও এই ধরনের তারিখ ও কেন্দ্রের স্থান জানতে পারবেন। আপনি এসএমএস এর মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস জানতে SC স্পেস দিয়ে ১০ বা ১৭ সংখ্যার এন আই ডি নাম্বারটি দিয়ে ১০৫ এই নাম্বারে সেন্ড করতে হবে। আর যাদের এনআইডি নাম্বার ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডি নাম্বারের শুরুতে জন্ম সাল যোগ করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ
এভাবে যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখবেন তারপর একটা স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপ এর ফরম নাম্বার লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিবেন তারপর জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নাম্বারে সেন্ড করে দিবেন।
SC NIDFxxxxxxxxxxxxxxxx D 105
স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কেমন?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জাতীয়তার পরিচয় হিসেবে আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র। দেশের প্রতিটি সরকারি কিংবা বেসরকারি কাজে স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়।
নতুন পাসপোর্ট আবেদন অথবা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে প্রতিটি অফিসিয়াল কাজে স্মার্ট কার্ড বা আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। স্কুল, কলেজ কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক তা প্রমানে আইডি কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।
করোনা টিকা নিবন্ধন থেকে শুরু করে ট্রেনের টিকেট কাটা আবার ভোট প্রদান সহ বেশ কিছু নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে চাইলে আপনার স্মার্ট কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। আপনি নতুন সিম ক্রয় করতে চাইলে আপনার প্রয়োজন স্মার্ট আইডি কার্ডের নাম্বার।
আপনি চাইলে জন্ম সাল দিয়েই জেনে নিতে পারবেন আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম উত্তোলন করা হয়েছে। বিকাশ, রকেট এবং নগদের মতো জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে চাইলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে। তাই স্মার্ট কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম একজন মানুষের জীবনে পথ চলতে।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






