মনকে স্থির বা নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানুন
মাথা থেকে টেনশন, স্ট্রেস এগুলো একদম দূরে সরিয়ে রাখুন এবং মনটাকে সুস্থ অবস্থায় রেখে কাজে বসুন, দেখবেন সফলতা একদিন আপনার কাছে এসে ধরা দেবেই! তাই দেরি কিসের! শুরু করতে পারেন আজ থেকেই।

যেকোনো কাজে যদি কেউ সফলতা অর্জন করতে চায় তবে সবার আগে সেই কাজে তার পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যদি কোনো কাজ নিখুঁতভাবে করতে চান তবে সবার আগে আপনার সবটুকু মনোযোগ দিন সেই কাজে।
সবার আগে আপনার মনটাকে স্থির করে সেই কাজের সঙ্গে সেট করে নিতে হবে। এই ব্যাপারটা কোনোভাবেই এড়িয়ে চলা যাবে না। নাহলে আপনি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারবেন না! এটাও মনে রাখতে হবে যে, মনোযোগ ধরে রাখাটা বেশ কঠিন হলেও এটি অসম্ভব কিছু না!
অনেকেই বিরক্ত হয়ে বিষয়টি এড়িয়ে চলে। অনেকেই ভাবেন যে, এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে! আসলে এটা সম্ভব। আর এর জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করা যেতে পারে। চলুন জেনে আসি একটি কাজে কিভাবে মনটাকে স্থির রাখা যায়।
মনটাকে স্থির রেখে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারছেন তো?
তবে আপনি যদি কাজে সফল হতে চান অথবা উন্নতি করতে চান তবে অবশ্যই আপনার মনের স্থিরতাকে অর্জন করতে হবে। মাইন্ডকে ফোকাস করতে হবে কাজের মধ্যে।
আপনি আপনার কাজে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করতে এই পরামর্শ সমূহ পালন করতে পারেন
আপনার কাজের কাঠামো পাল্টান
৩. আপনার কাজে কতটুকু অগ্রগতি হচ্ছে সেটি যদি লক্ষ রাখতে না পারেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কাজে মনোযোগ বাড়াবেন কিভাবে? কাজে মনোযোগ বাড়ানোর উপায় গুলো সম্পর্কেও জেনে নিন।
১. কাজ শুরু করার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন
এক্ষেত্রে আপনি যে স্থানে সুবিধা মনে করেন এরকম একটি স্থানে বসে পড়ুন। এবার আপনার নিঃশ্বাস যেন আপনার পাকস্থলি পর্যন্ত পৌঁছায় এমন গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন। এই কাজটি ২ মিনিট পর্যন্ত করুন। আর এতে আপনার মনটা শান্ত হয়ে যাবে। তাই কাজ শুরু করার পূর্বে আপনার শরীর ও মনকে এভাবেই শান্ত করে নিন।
২. মোবাইল ফোন থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকুন
তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই কিছু সময়ের জন্য ফোনটি দূরে রাখবেন। বিশেষ করে যখন মেন্টালি প্রস্তুতি নিবেন, তখন সেই সময়ে ব্যক্তিগত ফোনটি কিছু সময়ের জন্য হলেও দূরে রাখবেন।
৩. পেটে ক্ষুধা নিয়ে কাজ শুরু করবেন না
৪. সুবিধা হয় এমন স্থান তৈরি করে নিন
৫. আপনার ওয়ার্কপ্লেস পরিচ্ছন্ন রাখুন ও লিস্ট তৈরি করুন
ডেস্কে ড্রয়ার থাকলে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখুন। কাজের ফাঁকে আপনার তৈরিকৃত রিমাইন্ডার কিংবা টু-ডু লিস্টে চোখ বুলিয়ে নিন। দেখবেন, কাজের প্রতি অনেকটাই ফোকাস বৃদ্ধি পাবে এবং আগ্রহ জাগবে!
৬. প্রয়োজনে ওয়াশরুম ব্যবহার করুন
৭. নিজেকে মোটিভেট করুন
সেই জিনিসগুলো কিংবা বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। “আমি পারি, আমাকে এই কাজটা নিখুঁতভাবে শেষ করতে হবে’’ -এই বিষয়গুলো মনে গেঁথে নিন। তাহলে মনেযোগ বসিয়ে সেই কাজগুলো করতে আর অসুবিধা হবে না!
এছাড়াও আরও কিছু উপায় হলো -
২. শব্দ শোনা যাবে এমন হেডফোন অর্থাৎ নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করতে পহবে। এতে আশেপাশের শব্দে আপনার মমে কোনো বিরক্তি আসবে না।
৩. আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য কিছু সময়ের জন্য ক্ল্যাসিক্যাল গানও শুনতে পারেন। সফট সাউন্ড ট্র্যাক শুনলে মনে প্রশান্তি আসে, স্ট্রেস কিছুটা হলেও কমে। আর স্ট্রেস কম হলে আপনার মনকে সহজেই স্থির করা সম্ভব। এতে যেমন কাজে মনোযোগ বসানো যায় তেমনি মনে প্রশান্তিও আসে।
কর্পোরেট লাইফে এই টুকটাক বিষয়গুলো মেনে চললে আপনি সত্যি বেশ সুবিধা পাবেন। কাজের প্রাধান্য অনুসারে লিস্ট করতে হবে, ছোট বিরতি নিতে হবে, কাজের চাপ না নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে শিখুন!
মাথা থেকে টেনশন, স্ট্রেস এগুলো একদম দূরে সরিয়ে রাখুন এবং মনটাকে সুস্থ অবস্থায় রেখে কাজে বসুন, দেখবেন সফলতা একদিন আপনার কাছে এসে ধরা দেবেই! তাই দেরি কিসের! শুরু করতে পারেন আজ থেকেই।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোনো মতামত থাকে তবে তা জানিয়ে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন আপনিও।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং দ্য ব্যাকস্পেস জার্নালের সঙ্গেই থাকুন। আর আপনিও আপনার মূল্যবান লেখা জমা দিতে পারেন। আপনি যদি আপনার কোনো লেখা জমা দিতে চান তবে অবশ্যই লগইন করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






