অ্যাপল কোম্পানি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জেনে নিন
অ্যাপেল করপোরেশন হল একটি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি কোম্পানি। এর সংস্থাপক স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন। এটির হেডকোয়ার্টার কুপারটিনো, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। অ্যাপেল বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উন্মুক্ত করে যেমন- স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ ইত্যাদি। আপেলের প্রতিষ্ঠাকাল ১ এপ্রিল, ১৯৭৬ সালে।

আজকে আমরা জানতে চলেছি একটি বিখ্যাত আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি সম্পর্কে। যেটি কম্পিউটার সফটওয়্যার কনজুমার ইলেকট্রিক এবং বিভিন্ন অনলাইন সেবা ডিজাইন ডেভলপ বিক্রি করে থাকে।
বিষয় |
তথ্য |
প্রতিষ্ঠাকাল |
১ এপ্রিল ১৯৭৬ |
প্রতিষ্ঠাতাগন |
স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক, রোনাল্ড ওয়েন |
মোট কর্মীসংখ্যা |
১,৪৭,০০০+ (২০২১) |
পরিসেবা |
অ্যাপল পে, অ্যাপল স্টোর, অ্যাপ স্টোর ম্যাক, অ্যাপল এর্নাজি ইত্যাদি |
মোট আয় |
$২৭৪.৫ বিলিয়ন (২০২১) |
মোট লাভ |
$৫৭.৪ বিলিয়ন (২০২১) |
বিনিয়োগমূল্য |
ট্রিলিয়ন ২.০+ (২০২১) |
উদ্যোগের কেন্দ্র |
কুপারটিনো, ক্যালিফোর্নিয়া |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ |
শ্যাজাম, টেক্সচার, বেডিট, অ্যাপল সেলস ইন্টারন্যাশনাল, অ্যাপল এর্নাজি ইত্যাদি |
প্রধান পণ্যসমূহ |
আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক, অ্যাপল ওয়াচ, এবং সফটওয়্যারসমূহ যেমন iOS, macOS, iCloud |
এপ্রিল ১৯৭৬ স্টিভ জবস স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওজনিয়াক এর অ্যাপেল ১ ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডেভেলপ ও বিক্রির জন্য অ্যাপল কোম্পানি গঠন করে। জানুয়ারি ১৯৭৭ এটি অ্যাপল কম্পিউটার ইংক ইনর্রকোপড হয়। ফলে কিছু বছরের মধ্যে স্টিভ ও ওজনিয়াক কম্পিউটার ডিজাইন এর জন্য কর্মী নিয়োগ দেন।
১৯৮০ সালে অ্যাপল আকস্মিক ভাবে ব্যাপক আর্থিক সফলতা পায় ফলে তারা আইপিও এর ঘোষণা দেন। আর অ্যাপল পরের কিছু বছরে ইনোভেটিভ গ্রাফিকাল ইউজার সহ বেশ কিছু নতুন কম্পিউটার বিশ্ব বাজারে ছাড়ে।
ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার অ্যাপল এর বিজ্ঞাপন বিপণন এর জন্য ১৯৮৪ সালে ব্যাপক সফলতা লাভ করে। অ্যাপল এর উচ্চ মূল্য থাকার কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে কিছু নির্বাহী কর্মকর্তার মাঝে লড়াই শুরু হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে ১৯৮৫ সালে ওয়াজ নিয়াক অ্যাপল কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়ায়।
তার সাথে অ্যাপলের ব্যক্তিগত কম্পিউটার উচ্চমূল্য আর অন্য কোম্পানির কম্পিউটার এর দাম কম হওয়ায় অ্যাপল এর বিক্রি কমে যায়। এবং বৃদ্ধিপায় মাইক্রোসফট উইন্ডোজের কম্পিউটার গুলোর। এর ফলে আরো অনেক কর্মকর্তাগণ চাকরি ছাড়তে লাগলেন।
ফলে ১৯৯৭ সালের নির্বাহী কর্মকর্তা গিল এমেলিও নেক্সট কোম্পানি কে ক্রয় করে স্টিভ কে আবার অ্যাপল এ ফিয়েয়ে আনেন। এবং তার সাথে বৃদ্ধি পায় কাজের গতি। আর কিছুদিন এর ভিয়র স্টিভ হয়ে জান কোম্পানির সিইও তার সাথে তিনি ২০০১ সালে একটি উদ্যোগ নেন অ্যাপল এর নিজস্ব রিটেল স্টোর। এবং তার সাথে তাদের কোম্পানির কিছু কম্পিউটারে হার্ডওয়ার এর পরিবর্তন আনা হয়।
এই প্রক্রিয়া অবলম্বন এর কারনে অ্যাপল আবার সফলতা পেতে থাকে।এবং স্টিভ ঘোষণা দেন ২০০৭ সালে যে অ্যাপল কোম্পানি য়ে স্মার্টফোন বানাবে ২০০৭ সালে যিনি আইফোন এ ঘোষণা দেন যেটি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশ ভালো ভাবে প্রশংসা অর্জন করে। এবং আইফোন ব্যাপকভাবে সফলতার মুখ দেখে।
আইফোন তাদের বিভিন্ন সিরিজ এর ফোন বাজারে ছেড়ে থাকে আইফোন ১ থেকে এখন অবদি বাজারে আইফোন ১৪ আছে যা অসাধারণ ভাবে সফলতা অর্জন করে। আর আর্থিক লাভবান হয়। ২০১১ জব শারিরীক অসুস্থতা এর কারণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে অবসর নেন। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন টিম কুক।
এর ঠিক দুই মাস পর জবস মারা জান। ২০১৭ সালে অ্যাপল এর বিশ্ববাপী বার্ষিক আয় হয় ২২.৯০০ কোটি কোটি টাকা। মুনাফার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের সর্ব বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি। স্যামসাং হুয়াওয়ের পর তৃতীয় ও সর্ব-বৃহত্তম উৎপাদনকারী কোম্পানি ২০১৮ সালে অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাবলিক কোম্পানি যা ১ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ আয় করে। তাদের কর্মী সংখ্যা হলো ১,২৩,০০০। সবথেকে বেশি মিউজিক রিটেলার অডিয়েন্স অ্যাপল এর। ১০০ কোটিরও বেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী সক্রিয়ভাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানা যায় ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী। এবং বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্রান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে অ্যাপল।
আর এই কোম্পানির পণ্যগুলো হলো ম্যাকিন্টশ আইপড, আইফোন আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচ, অ্যাপল টিভি, হোমপার্ড ম্যাক ও এস আই ও এস আই লাইফ লজিক প্রো ইত্যাদি পণ্য বিশ্ব বাজারে আসে।
কোম্পানির প্রাধন ব্যাক্তিবর্গ চেয়ারম্যান আর্থার ডি লেভিনসন। প্রাধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক, প্রধান ডিজাইন কর্মকর্তা জনি ইভ ইত্যাদি ব্যাক্তিগন।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






