৬ষ্ঠ শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মুম্বাই
এলিমিনেটর ম্যাচে লৌখনো কে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আইপিএলের ১৬ তম আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফাই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা।

আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আসরের প্রথম থেকেই তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি প্রথম ৪ ম্যাচে তারা ৩ ট ম্যাচ হেরে বসে ফলে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে তাদের অবস্থান হয়। অবশ্য তারা শেষের দিকে এসে দুর্দান্ত ভাবে খেলতে থাকে। এবং গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই তারা শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলে। তারা ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ৮টি তে জয়লাভ করে।
এদিকে আসরের প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে যায় লৌখনো। তারা প্রথম দিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করে কিন্তু আসরের মাঝখানে এসে তাদের খেলায় কিছুটা স্থবিরতায় আসে। ফলে শেষ চার নিশ্চিত নিয়ে কিছুট শঙ্কা জাগে।
কিন্তু তারা আসরের শেষের দিকে এসে আবার দূর্দান্ত ক্রিকেট খেলে। ফলে তারা এইবারের আইপিএল তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলে তারা ১৪ ম্যাচ খেলে ৮টি তে জয়লাভ করে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করে।
এলিমিনেটর ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এদিন ওপেন করতে আসেন ইশান কিষাণ ও রোহিত শর্মা। এই বারের আসরে রোহিত শর্মা নিজেকে তেমন ভাবে মেলে ধরতে পারেনি বলাই চলে। আরেক ওপেনার ইশান কিষাণ তিনি আসরের প্রথম থেকেই ভালো খেলো চলছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮ উইকেট এর বিনিময়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, এদিন ৩০ রানে মুম্বাই তাদের প্রথম উইকেট দিয়ে বসেন রোহিত শর্মা।
মাত্র ৮ রান যোগ করতেই আরেক ওপেনার ইশান কিষাণও আউট হয়ে যায়। ফলে চাপে পড়ে যায় মুম্বাই, দুই ওপেনার আউট হয়ে গেলো মাঠে খেলতে থাকেন মুম্বাইয়ের দুই বিধ্বংসী ব্যাটার ক্রীস গ্রীন ও সূর্য কুমার যাদব। তারা দুজনে মিলে ৬৬ রানের জুটি করে মুম্বাই কে চাপ থেকে স্বাভাবিক খেলায় নিয়ে আসেন। ১০.৪ ওভারে যাদব তার উইকেট টি দিয়ে বসেন।
যাদব আউট হওয়ার পর মাত্র ১ রান যোগ করতেই আউট হয়ে যায়, ক্রীস গ্রীন তখন মুম্বাইয়ের সংগ্রহ ১০৫ রান ১১ ওভারের বিনিময়ে। শেষের দিকে এসে তিলক বর্মা। এর ২৬ রান ও বাধেরার ২৩ এর উপর ভিত্তি করে মুম্বাই ১৮২ রান করতে সক্ষম হয় এ ম্যাচে ১৬ রান অতিরিক্ত হিসেবে দেয় লৌখনোর বোলাররা।
১৮৩ রানের লক্ষ্য তারা করতে মাঠে আসেন কার্ল মায়াস ও মানকদ তারা দুজনে মিলে লৌখনে কে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি। মাত্র ১২ রানে মানকদ তার উইকেট দিয়ে বসেন, এর প্রেক্ষিতে ১১ রান যোগ করতেই ২৩ রানে আরেক ওপেনার কার্ল মায়াস আউট হয়ে যান। এতে করে তারা চাপে পড়ে যায় মাঠে। দুজন নতুন ব্যাটার আসেন ক্রুর্নাল পান্ডিয়া ও মার্কস স্টইনিস, স্টইনিস এর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসে লৌখনো।
স্টইনিসের ৪০ রান ব্যতীত কেউ মাঠে ধারাবাহিক ভাবে খেলে যেতে পারেনি। আর মাধওয়াল ১০ তম ওভারে জোড়া উইকেট নিলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লৌখনো। কার্ল মায়াসের ১৮ আর স্টইনিস এর ৪০ ছাড়া কেউ দুই অংকের রান করতে পারেনি ফলে মাত্র ১০১ রানে ১৬.৩ বলে অল উইকেট হয়ে যায় লৌখনো।
এদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর বোলাররা দারুন ভাবে বল করে, ক্যারিয়ার সেরা বল মাধওয়াল মাত্র ৫ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার তার। এবং তিনি এই ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন।
মুম্বাই ৮০ রানে জিতে কোয়ালিফাই নিশ্চিত করে ফেলেন। এখন তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাট, গুজরাটকে হারাতে পারলে চেন্নাইয়ের সমানে ফাইনাল খেলার ইতিহাস গড়বে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এখন দেখার বিষয় গুজরাট বাধা টপকে কি পারবে মুম্বাই তাদের মিশন হেক্সা সম্পন্ন করতে?
দ্বিতীয় কোয়ালিফাই গুজরাট আর মুম্বাইয়ের মধ্যে কে জিততে পারে আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের মন্তব্য ঘরে করুন প্রকাশ করুন।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






