‘স্যামসাং’, শুধু স্বপ্নই দেখেনি! তা বাস্তবায়নও করেছে
কখনো কি চিন্তা করতে পেরেছিলেন একজন নুডলস প্রস্তুতকারক তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি একদিন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ও জনপ্রিয় ব্রান্ডগুলোর একটিতে পরিণত হয়ে উঠবে? নিশ্চয়ই তা ভাবতে পারেননি! লি তিনিও হয়তো ভাবেননি যে, এতবড় কিছু অর্জন হবে কিন্তু তিনি তা স্বপ্নেও দ্যাখেননি।

‘স্যামসাং’ নাম শোনেননি এমন মানুষ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। প্রায় সকলেই এই কোম্পানি সম্পর্কে আমরা জানি। স্যামসাং গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বহুজাতিক উৎপাদনকারী সংস্থা। এটি বিভিন্ন ব্যবসার সমন্বয়ে গঠিত। তাদের অধিকাংশই স্যামসাং ব্র্যান্ডের অধীনে সংযুক্ত। চলুন আজ এই স্যামসাং এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি।
এক নজরে দেখে নেই স্যামসাং কোম্পানি সম্পর্কে –
স্যামসাং (Samsung)
১৯৬০ সালের শেষের দিকে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে এবং ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রবেশ করে। ১৯৮৭ সালে লির মৃত্যু হয় এবং এর পরবর্তী সময়ে স্যামসাং পাঁচটি ব্যবসায়িক গ্রুপে বিভক্ত হয়। যথা; স্যামসাং গ্রুপ, শিনসেগে গ্রুপ, সিজে গ্রুপ, হ্যানসোল গ্রুপ এবং জুওংগাং গ্রুপ। স্যামসাং শিল্প গুলোর মধ্যে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স উল্লেখযোগ্য।
১৯৬০ দশকের শেষের দিকে স্যামসাং এই ইলেকট্রনিক্স শিল্পে প্রবেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, স্যামসাং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্স, স্যামসাং কর্নিং এবং স্যামসাং সেমিকন্ডাক্টর এবং টেলিকমিউনিকেশনের মতো বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত বিভাগ। আর এর প্রথম পণ্যটি ছিল একটি সাদা-কালো টেলিভিশন সেট। এবার চলুন স্যামসাং ফোনের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাই!
১. প্রথমেই SH-100
২. SGH-600
কারণ এটির বিক্রিও ভাল হয়েছে। এর মাধ্যমে স্যামসাং কোম্পানি পুরষ্কারগুলি অর্জন করতে শুরু করে এবং পরবর্তীতে স্যামসাং বড় বিষয় সম্পর্কে ভাবতে শুরু করে।
৩. Samsung Galaxy S8
৫. Galaxy S9 এবং S9 Plus
এরপর আরও অনেক মোবাইল ফোন বের করে এই কোম্পানি। সর্বশেষ, Samsung Galaxy S21+ 5G।
৬. Samsung Galaxy S21+ 5G
স্যামসাং এর অন্যান্য কাজ
এছাড়াও আছে ফ্যাশন হাউস। তবে এটির বিস্তার এখনো বিশ্বব্যাপী ছড়ায়নি। স্যামসাং এর একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে রোবোটিক্স, ক্লোনিং, ভার্চুয়াল, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কাজ করা হয়। গুগল এবং এমাজনের মতো স্যামসাং এরও বিক্সবি নামে একটি ভয়েস এসিস্ট্যান্ট রয়েছে।
সেই নুডলস থেকে যাত্রা শুরু করে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের রূপ নেয়া এই স্যামসাং তার সীমা আজ পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচো মাত্র ৩০.০০০ ওয়ান দিয়ে শুরু হয়েছিলো এই এই যাত্রা। কখনো কি চিন্তা করতে পেরেছিলেন একজন নুডলস প্রস্তুতকারক তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি একদিন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ও জনপ্রিয় ব্রান্ডগুলোর একটিতে পরিণত হয়ে উঠবে? নিশ্চয়ই তা ভাবতে পারেননি!
লি তিনিও হয়তো ভাবেননি যে এতবড় কিছু অর্জন হবে কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি হয়তো জানতেন সেই স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। তাই হয়তো আমরা আজ এই স্যামসাংয়ের রূপ দেখছি। তা না হলে এই রূপ আমরা কোনো দিনও দেখতে পেতাম না।
পরিশেষ
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






