ওষুধ ছাড়াই যৌন সমস্যার সমাধান

যৌন সমস্যা সমাধানের জন্য ঔষধের প্রয়োজন নেই। একটু নিয়ম মেনে চললেই হবে সমাধান। ঔষধ ছাড়াই যৌন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

অগাস্ট 13, 2023 - 11:15
অগাস্ট 17, 2023 - 02:11
 0
ওষুধ ছাড়াই যৌন সমস্যার সমাধান
ওষুধ ছাড়াই যৌন সমস্যার সমাধান

যারা যৌন বিষয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের বড় অংশ দেখা যায় সাইকোলজিক্যাল ডিস্ট্রেস বা মনের অস্তিরতা বা অশান্তিতে ভোগেনএটাই যৌন সমস্যার মূল কারণ বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। সেই অনুযায়ি চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি যদি তাদের কে সমস্যাটি সমন্ধে বুঝিয়ে দেওয়া যায় এবং যৌন অপারগতা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কি করণীয়  তা সম্পর্কে জানানো হয়, তখন কিন্তু যৌন সমস্যা গুলো কমে যাবে। তখন অনেকটাই ভালো ফল লাভ করা যায় এবং অনেক উপকার পাওয়া যায়।


এখন কথা হলো প্রত্যক পেশেন্টকে যখন ঔষধ লিখে দেওয়া হয়, এরপর,
প্রেসক্রিপশন হাতে দেওয়ার আগেই বা ঔষধ লিখে দেওয়ার পরেই প্রশ্ন আসে ঔষধ ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি আছে কি! যার মাধ্যমে ভালো সমাধান পাওয়া সম্ভব। কারণ সবাই যে সে কারণে ঔষধ ব্যবহার করতে একটু ভয় পান। ভয় পাওয়া টা স্বাভাবিক, তাও আবার সেক্স এর ঔষধ ভয় তো লাগবেই। আবার সেক্স এর যে যৌনাঙ্গ, পেনিস, যে অণ্ডকোষ, বা শুক্রাশয় এগুলো আবার নস্ট হয়ে যাবে না তো, রোগীদেরএমন ভাবনা তাদেরকে খুব বিচলিত করে।


এখন কথা হলো যে, এগুলো খেলে ক্ষতি হয়ে যাবে এমন কিছু না। আমাদের সমস্যা হলো ঔষধ খাওয়া নিয়ে। যেমন: জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল খায়
, টাইফয়েড এর চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক খায়, তেমনি সেক্স এর চিকিৎসাই সেক্স এর ঔষধ খেতে হয়। এখন কথা হলো যে, ঔষধ ছাড়া আর কোন কো পদ্ধতিতে যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায় বা সেক্সুয়াল সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। ঔষধ ছাড়া আসলে অনেক পদ্ধতি আছে যেই পদ্ধতি গুলো ধিরে ধিরে কাজ করবে, ম্যাজিক এর মতো কাজ করবে না কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।


এই বিষয় গুলো কি কি যদি আপনার জানা থাকে এবং মেইনটেইন করেন তাহলে যৌন সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করা যায়। এই প্রতিরোধের জন্য কিছু কিছু খাবার বা লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।


যে পরিবর্তন গুলির প্রয়োজন

ওজন যদি বেশি হয় তাহলে সেক্সের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এরকম বিভিন্ন গবেষণা আছে যেখানে দেখা গেছে, যাদের ওজন বেশি, তাদের একটি বড় অংশের সেক্সুয়াল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ ওজন বেড়ে গেলে যেটা প্রধান সমস্যা হয়, তা হলো পেটের মেদ। পেটের  মেদটা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য  খুব খারাপ ফলাফল বয়ে আনে। আপনারা হয়তো জানেন বা বিভিন্ন সময়ে জেনেছেন যে "টেস্টোস্টেরন" নামে একটি হরমোন যেটা পুরুষের পুরুষত্ব কে প্রকাশ করতে সাহায্য করে, পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে, যখন পেটের মেদ বেড়ে যায় তখন টেস্টোস্টেরন হরমোনটা আস্তে আস্তে রুপান্তর হয়ে অন্য একটি হরমোন এ পরিবর্তন হয়ে যায়।


তখন টেস্টোস্টেরন হরমোন এর পরিমাণ কমতে থাকে। আর এই হরমোন কমে গেলেই সেক্স এর আগ্রহ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই আপনার ওজন কে নিয়ন্ত্রণ এ রাখতেই হবে। আবার অতিরিক্ত চর্বি বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। আরেকটি সমস্যা হলো যাকে আমরা "এথেরোস্ক্লেরোসিস" নামে চিনি। এথেরোস্ক্লেরোসিস এর কারণে রক্ত নালির ভিতরে চর্বি জমতে পারে যখন আপনার ওজন বেড়ে যাবে। একটা পেনিস শক্ত হওয়া এর পিছনে অনেক অনেক কারণ আছে। এখানে রয়েছে ব্রেইন এর কিছু মেকানিজম
, এখানে রয়েছে আপনার মেরুদণ্ডের মাঝখান দিয়ে যে নার্ভ গুলো যাচ্ছে সেই নার্ভের মেকানিজম, আপনার পেনিস এর মধ্য যে রক্ত নালিকা আছে সেই রক্ত নালিকার মধ্য কেমন রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণযখন রক্ত নালির মধ্য চর্বি জমে রক্ত চলাচল ঠিকমতো  হয় না, এই ধরনের সমস্যার কারণে সেক্সুয়াল সমস্যা হয়। তাই আপনার ওজন কে কন্ট্রোল এ রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।


আপনার কখনো কোনো ট্রমা বা আঘাতের ইতিহাস আছে কি না সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মন
, আপনার কষ্ট, আপনার চিন্তা, আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্ক এগুলিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


রশিটা টেনে ধরুন নিজেকে ফিট রাখুন। অনেকের মধ্যে এই প্রশ্ন আসে যে সেক্স এর জন্য কি খাবো
? ভালো সেক্স হেলথের জন্য খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকগুলো খাবার রয়েছে এর মধ্যে যেমন,  ভিটামিন বি১ যুক্ত খাবার মানুষের সেক্সকে উন্নত করে। ডিম, দুধ, শাক-সবজি( বিশেষ করে রঙিন শাক-সবজি) এবং সিম এই খাবারগুলোতে ভিটামিন বি১ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন রকম বাদামে ভিটামিন বি১ আছে।  জিংক যুক্ত  খাবার গুলো যৌন স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে। সামুদ্রিক মাছে অনেক বেশি জিংক আছে।


তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে ডিম খান, তাহলে আপনার সারাদিনের যে জিংকের চাহিদা আছে তা মিটবে। তাই ডিম একটি যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখার গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এছাড়া গরুর মাংস
, ভেড়ার মাংস, সিমের বিচ, লাউ এর বিচ, মিস্টি কুমড়ার বিচ এই সমস্ত খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে জিংক আছে। আবার ডার্ক চকলেটেও জিংক আছে। বলা হয় ডার্ক চোকলেট মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।  কাজুবাদামেও বেশ কিছু জিংক পাওয়া যায়। এরপর অ্যামিনো অ্যাসিড যেগুলো মানুষের মধ্যে থাকে। তারপরও বাহিরে থেকে অনেকেই অ্যামিনো অ্যাসিড নেন। অ্যামিনো অ্যাসিড হচ্ছে "আরজিনিন" ও "কারনিটিন"। এগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে রক্ত নালির মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহ খুব ভালো হয়। এর ফলে যৌন চাহিদা বাড়ে আবার পেনিস শক্ত করে।


আরজিনিন এবং কারনিটিন যে খাবার গুলো থেকে পাওয়া যায় তা হলো মুরগির মাংস
, গরুর মাংস, দুধ ও পনির জাতীয় খাবার ইত্যাদি। এর পর "ওমেগা ৩ ফ্যেকি অ্যাসিড" নামে একটি এসিড আছে যেটা খুব ভালো চর্বি। সেই ওমেগা 3 ফ্যেকি এসিড যে খাবারগুলোতে আছে তা হলো ইলিশ মাছ, যে বিচ গুলোর মধ্য ওমেগা 3 ফ্যেকি এসিড পাওয়া যায় যে গুলো যৌন স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে। বাদাম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার এই বাদাম সেক্স কে ভালো রাখে।


বাদামের মধ্যে বিশেষ করে ওয়ালনাট নামে একটি বাদাম আছে যেটাতে এই এসিড প্রচুর পরিমাণে আছে।আবার চিনা বাদাম
, কাজুবাদাম  সেক্স কে ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করে। তরমুজ এমন একটি খাবার যেটা সেক্স করার আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে। আপেলের মধ্যে এমন একটি উপাদান আছে যা আপনার দেহের রক্ত চলাচল দ্বিগুণ করবে, রক্ত পরিস্কার করবে, বেশি ব্লাড প্রবাহিত হবে যা আপনার পেনিস কে আরো বেশি উত্তেজিত করবে।


শুধু আপেল নয় আরো অনেক ফল আছে যে গুলো আপনার যৌন স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে যেমন কালো আঙ্গুর
, লেবু জাতীয় ফল( মাল্টা,বাদামি লেবু) ইত্যাদি। এছাড়া কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে( হাই প্রেসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা পেটের কোনো বিশেষ রোগ ইত্যাদি) ভালো করে। কলা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার , এমন কোনো ভিটামিন নাই যা কলাই নাই। সব ভিটামিন কলাই আছে।  আরেকটি কাজ হলো রেগুলার সেক্স করা। সেক্স এ বিরতি রাখলে যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে।

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow