শুধু সফলতা ভালো থাকার মূলমন্ত্র নয়, পড়ুন বিস্তারিত
ইন্টারনেটের এই যুগে মানুষের কাছে সেই ভার্চুয়াল জগতটায় তার কাছে অতি কাছের হয়ে গেছে। বেড়েছে নতুন নতুন যোগাযোগ। এতে খুব কাছের মানুষটিও হারিয়ে যায় সেই নতুনের ভীড়ে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বলতে পারবে না তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শেষ কবে খুব জমিয়ে আড্ডা দিয়েছে, গল্প করেছে এবং একই টেবিলে খাবার খেয়েছে।

জীবনের স্বার্থকতা কেথায় যদি না আপনি সকল কর্মে সফল হওয়ার পরও হাসতে না পারেন? আলাদা ব্যক্তিত্ব, উন্নত ক্যারিয়ার এবং জীবনের নতুনত্ব এসবই থাকার পরও আপনি খুশি নন কেন একবারও কি ভেবে দেখেছেন?
আসলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে শুধু সফলতায় পারে সকল জীবনের হাসিখুশি, সুখ এবং আনন্দ এনে দিতে। সফলতা অবশ্যই সুখের কারণ কিন্তু সেই সফলতা যেন যান্ত্রিক না হয়ে যায়। ২০০০ বছর আগে বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টটল বলে গেছেন যে, “যদি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হাসি খুশিভাবে বেঁচে থাকাই না যায় তবে সেই জীবনের সফলতা কোথায়?”
তাই সফলতার সাথে সাথে জীবনে হাসিখুশি থাকাটাও খুবই জরুরি। কারণ আপনি যদি সুখ বা আনন্দ না পান তবে তার প্রভাব আপনার সফলতার পথেও বাধার সৃষ্টি করবে। তাই সফলতার অর্জনের পাশাপাশি জীবনে হাসিখুশি থাকার উপায় সম্পর্কে জানুন।
১. নিজেকে ভালোবাসুন
নিজেকে ভালোবাসলে জানা যায় এবং বোঝা যায় আমার আমি টা আসলে কি চায়! আর মানুষ যখন নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়, তখন সে অন্যকেও সন্তুষ্ট রাখার বিভিন্ন উপায় বা পথ খুঁজে পায়। আর এতে সফলতার পাশাপাশি নিজেকে এবং নিজের চারপাশকে ভালো রাখা সম্ভব।
এজন্যই নিজেকে ভালোবাসতে হবে এবং মনে করতে হবে আমিই সেরা। তবেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য। আর নিজেকে ভালবাসার মাধ্যমেই কেবল নিজেকে নিয়ে ভাবা ভাবা সম্ভব। যেমন নিজের খুশির খেয়াল রাখা এবং নিজেকে প্রাধান্য দেয়া। যা প্রতিনিয়ত মানুচেষ্টা করে নিজেকে আরও ভালো বানাতে।
২. নিজের আবেগকে বাঁচিয়ে রাখুন
আর দ্বিতীয়ত, যে কাজে বিরক্তি আসে না সেখা সফলতার পথেও তেমন বাঁধা থাকে না। সুতরাং সফলতা অর্জন এবং সুখ লাভ দুটোই সম্ভব। তাই অবশ্যই নিজের গভীর আবেগগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরি।
৩. ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
ইনসোমনিয়া, মানসিক অশান্তি, হতাশা, মাথা ব্যাথা, নিম্ন রক্তচাপ জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে এই অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে৷ এজন্য অবশ্যই রাতে ঠিক সময়ে শুয়ে পড়া ও সকালে ঠিক সময়ে উঠার অভ্যাস আয়ত্ব করা উচিত। এতে শরীর মন দুটায় ভালো থাকে।
৪. খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন
সেজন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শাক সবজি, ফল মূল, দুধ এসব কিছু নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ খাদ্যাভাসের দিকে খেয়াল রাখা দরকার।
৫. নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন
ফলে পরবর্তী কাজগুলোতে প্রভাব ফেলে। এতে সফলতা এবং হাসিখুশি বা সুখ আনন্দ কোনো কিছুই লাভ করা যায় না।
৬. অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস না নেয়া
তাই সকল পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। ভাবতে হবে ভালো আছি। তবেই জীবনে হাসিখুশি, সুখ, আনন্দ লাভ করা সম্ভব।
৭. পরিবারকে প্রাধান্য দিন
কিন্তু এতে করে হয় কি পরিবারের সাথে একরাশ দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে আপনি যতই সময় দেন না কেন তা আর আগের মতো হবে না। ততদিনে তাদের মাঝেও একটা পরিবর্তন চলে আসবে। আর এই সাধারণ বিষয়টায় আমরা বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে চাই না।
ইন্টারনেটের এই যুগে মানুষের কাছে সেই ভার্চুয়াল জগতটায় তার কাছে অতি কাছের হয়ে গেছে। বেড়েছে নতুন নতুন যোগাযোগ। এতে খুব কাছের মানুষটিও হারিয়ে যায় সেই নতুনের ভীড়ে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বলতে পারবে না তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শেষ কবে খুব জমিয়ে আড্ডা দিয়েছে, গল্প করেছে এবং একই টেবিলে খাবার খেয়েছে।
কিছু কিছু মানুষ বলতে পারলেও অনেকেই তা বলতে পারবেনা। আমাদের সমস্যাটা এখানেই। পরিবারকে সময় দিলে মনের অনেক ক্লান্তিও দূর হয় যা মানুষকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পরিবারকে সময় ও প্রাধান্য দেয়া উচিত।
পরিশেষ
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






