ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালপুরুষ’, ‘কালবেলা’ এর স্রষ্টা বিদায় নিলেন
সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪২ সাল। শৈশব ডুয়ার্সের চা-বাগানে। শিক্ষা প্রাথমিক রুপে জলপাইগুড়ির জিলা স্কুলে। কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স। কর্মজীবনে আনন্দবাজার পাবলিসার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি প্রচন্ড আসক্তি ছিলো।

“সুখ পেলে বিব্রত হই। দুঃখ পেতে ভালবাসি। জানি সে এক অনিবার্য ঘটনা।” – সমরেশ মজুমদার।
“প্রেমের গল্প বলে যে আখ্যানগুলি তৈরী হয়, আমার কলম থেকে তা বের হয় না।” – সমরেশ মজুমদার।
“বাংলা থ্রিলার বড় একটা কেউ লেখেন নি, লিখতে গিয়ে দেখলাম ব্যাপারটা মোটেই সহজসাধ্য ঘটনা নয়।” - সমরেশ মজুমদার।
তিনটি তিন রকম বর্ণনায় লেখক কিছুটা বোধগম্য হলেন মনে হয়। ৮ মে ২০২৩ বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার এপোলো হসপিটালে সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।
সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪২ সাল। শৈশব ডুয়ার্সের চা-বাগানে। শিক্ষা প্রাথমিক রুপে জলপাইগুড়ির জিলা স্কুলে। কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স। কর্মজীবনে আনন্দবাজার পাবলিসার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি প্রচন্ড আসক্তি ছিলো।
সমরেশ মজুমদার এর প্রথম রচনা উপন্যাস ‘দৌড়’ প্রকাশ পায় ‘দেশ’ পত্রিকায় ১৯৭৬ সালে। তিনি গল্প, ছোট গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর রচনা, গোয়েন্দা কাহিনী, থ্রিলার সব দিক গুলিই সৃস্টি করে গেছেন। তাঁর প্রতিটি রচনা বলার গতিময়তার ভঙ্গিমায় পাঠকের মন জয় করা শুধু নয়, তীব্র আন্দেলিত করে দিয়েছিলো।
পুরস্কার লাভ
তাঁর ট্রিলজির একটু রুপরেখা
সত্তর দশকের সেই রাজনীতি তে ঝাঁপ দিয়ে সে দেখলো দাহ্যবস্তুর কোন সৃস্টিশীল ক্ষমতা নেই। পুলিশের নির্মম অত্যাচারে বিকলাঙ্গ হয়ে গেলো। আশ্রয় পেলো মাধবীলতার কাছে। কোন রাজনীতি তে না থাকা মাধবীলতা এক বাংলাদেশের মেয়ে তাকে শুধু ভালোবেসে নিজ বক্ষমাঝে আগলে রেখেছিলো।
দেশ গড়ার লক্ষে বিপ্লবের নিস্ফল হতাশায় ডুবতে ডুবতে অনিমেষ খেয়াল করলো বিপ্লবের আর এক নাম ‘মাধবীলতা’।
পরবর্তী কালে অনিমেষ আাশা করেছিলো পুত্র অর্ক তার হাতের পতাকা তুলে ধরবে। কিন্তু সে অ-রাজনৈতিক যুপকাঠের বলি হলো। কিন্তু তার মধ্যে অনিমেষ ও মাধবীলতার রক্ত বইছিলো অর্ক, সে পৃথিবীর। আগামী স্বপ্ন গড়বার সফলতা পাবে কি! যার নাম অর্ক মানে সূর্য তাকে কেউ রুদ্ধ করতে পারেনি।
সাতকাহনে আছে এক দিপ্তীময়ী আলোককন্যা দীপার গল্প। এখানে চালচ্চিত্রের মতো আসে একের পর এক চা-বাগান, গাছ-গাছালি, আঙরাভাসি নদী। পরে পঞ্চাশের দশকের কলকাতা ও শহরতলি, কো-এডুকেশন কলেজ, গার্লস হোস্টেল, কফি হাউস, সমকালীন ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটভূমি থেকে এক জীবন্ত চিত্রাবলী।
শ্রদ্ধা নিবেদন সমরেশ মজুমদার কে।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






