বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর উদ্ভব এবং বিকাশ সম্পর্কে জানুন
একুশ শতকে এসে সবার কাছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন এর প্রক্রিয়ার নাম মোবাইল ব্যাংকিং। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে এক দশক। বর্তমান সময়ে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের প্রতি জায়গায় অসংখ্য মানুষ কে সেবা দিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। জরুরি টাকার প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিং হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যাংকিং ব্যাবস্থা।

২০১১ সালের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়। এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক এর হাত ধরে শুরু হয় বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর পথচলা। শুরুর দিকে এই সেবা খুব একটা নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। দুই একটি সিম অপারেটর সিম ব্যবহার করে এই সেবা টি নেওয়া যেত। সেগুলা সিটিসেল ও বাংলালিংক এই দুইটি সিম দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা নেওয়া যেত।
এটির উদ্বোধন করেন স্বয়ং তৎকালীন বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ আতিউর রহমান। ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং আতিউর রহমান ২,০০০ টাকা জমা করেন এবং ১,৫০০ টাকা উত্তোলন করেন স্বয়ং নিজেই। ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রয়াশ ছিলো যে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা। ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা পৌঁছিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্য তারা সফল হয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য।
২০১১ প্রথম ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। কিন্তু এর কিছু মাস পর আরো ১০টি ব্যাংক এই সেবায় অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে ডাচ মোবাইল ব্যাংক ও বিকাশ তাদের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলো। এসব ১০টি ব্যাংক বাদেও আর ৮টি ছিলো; যারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনতো।
সেই ২০১১ সাল পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান পাড়ার অলিতে গলিতে শহরের আনাচে কানাচে তাদের ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রথম দিকের মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি এসএমএস ব্যবহার করেছিল, যা এসএমএস ব্যাংকিং নামে পরিচিত একটি পরিষেবা।
১৯৯৯ সালে স্মার্টফোন চালু হওয়ার সাথে সাথে ডাব্লুএপি সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলি সর্বপ্রথম তাদের গ্রাহকদেরকে এই প্ল্যাটফর্মে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করতে শুরু করে। ব্যাংকের দৃষ্টিকোন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের নগদ উত্তোলন এবং আমানত লেনদেনের জন্য একটি ব্যাংক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে লেনদেন পরিচালনার ব্যয় হ্রাস করে।
মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত নগদ অর্থের সাথে জড়িত লেনদেন পরিচালনা করে না এবং একজন গ্রাহককে নগদ উত্তোলন বা আমানতের জন্য একটি ব্যাংক শাখায় যেতে হয় টাকা উত্তোলনের জন্য।
আর প্রধান কথা এই যে, বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকের হাতেখড়ি শুরু হয় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর হাত ধরে। বাংলাদেশে প্রায় ১৫টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
তাদের কিছু নাম বলে দেওয়া হলো -
এটিই হলো বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিং এর উদ্ভব।
বিকাশ সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য জানুন
বিকাশ কি?
বিকাশ এমন একটি শব্দ যা উন্নয়ন এর কথা বলে বিকাশ এর যাত্রা কাল থেকেই সকল শ্রেণীর মানুষ স্বাধীন ভাবে তাদর অর্থ লেনদেন শুরু করে। এবং বিকাশ তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
বিকাশ দেশজুড়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে কার্জকর করতে তারা সহজ ও নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন করে। তাই এখন ডিজিটাল টাকা লেনদেন এর সর্মাথক শব্দ হয়ে গাসে বিকাশ। এবং তারা নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদান করে। মানুষের স্বপ্নপূরণের সহযোগী।
একই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশে অভিযাত্রার সহযাত্রী হয়ে উঠছে। বিকাশ এর ডিএনএ-তে রয়েছে যাত্রার শুরু থেকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। বিকাশ জনবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশজুড়ে চালু করে ৩ লাখ এজেন্ট ও ৩ লাখ মার্চেন্টের বিশাল বড় এক নেটওয়ার্ক।
তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সাথে অংশিদারিত্ব নিয়ে ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এর ফলে সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহকের আস্থা নিয়ে চলতে থাকে বিকাশ। বিকাশ এপ্রিল ২০১৩ সালে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্স্যাস কর্পোরেশন (আইওএফসি) তার সাথে বিল মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালে বিকাশ এর বিনিয়োগ কারী হয়।
অ্যান্ট গ্রুপ এবং সফ্যট ব্যাংক ভিশন এর যৌথ মালিকানাধীন বিকাশ। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ডিজিটাল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। আজকে এই প্রর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং এর ইতিহাস ও বিকাশ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এরপর আপনারা কোন মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে চান সেটা মন্তব্যের ঘরে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করুন। ‘দ্য ব্যাকস্পেস জার্নাল’ সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






