জীবন বীমা কি? আপনার কেন এটি প্রয়োজন তা জানুন
জীবন বীমা হলো মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত আপত্তিকর পরিস্থিতি যেমন মৃত্যু, অক্ষমতা ও অবসর গ্রহণের মত বিষয় মোকাবেলা করার আইন সম্মত চুক্তি। যেই চুক্তির মাধ্যমে বীমা গ্রহীতা কোনো কারণে মারা গেলে পলিসি করা পূর্ণ অর্থ ফেরত পান।

বীমা হলো এক ধরনের চুক্তি। যেখানে বীমা গ্রহীতা ও কোম্পানির দুই পক্ষের মধ্যে একটি আইন সম্মত চুক্তি। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। অন্যপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।
প্রথম পক্ষ বীমাকারী এবং দ্বিতীয় পক্ষ বীমাগ্রহীতার মধ্যে যথাক্রমে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা সম্বলিত একটি চুক্তি। জীবন বীমার ক্ষেত্রে ক্ষতি পূরণ হয় না, মানুষের জীবনের কোন মূল্য পরিমাণ করা যায় না। তাই জীবন বীমার ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা হয়ে থাকে।
বীমা ব্যক্তি জীবনের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীমা জনসাধারণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় (প্রিমিয়াম) সংগ্রহ করে মূলধন গঠনে সাহায্যে করে। মানুষের জীবন, ঋণ ও সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। তাই প্রতিটি মানুষের আর্থিক সঞ্চয় ও বৃদ্ধির জন্য বীমা অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
জীবন বীমা
জীবন বীমা কাকে বলে?
বীমা প্রিমিয়াম
কোনো কারণে সব প্রিমিয়াম জমা না দিয়ে গ্রহীতা মারা গেলে ওই বীমার সাথে চুক্তিপূর্ণ ব্যক্তি পূর্ণ অর্থ পেয়ে যাবেন। এটির জন্য এই বীমাকে জীবন বীমা বলা হয়। মানুষের প্রাণের সাথে যার সম্পর্ক। এটি মানুষের অনাকাঙ্খিত সবচেয়ে বড় বিপদ থেকে কিছুটা রক্ষা করে।
জীবন বীমা সাধারণত ৬ প্রকারের। সব ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
১. মেয়াদী জীবন বীমা বা মেয়াদী পরিকল্পনা
পরবর্তীতে মেয়াদ পরিপূর্ণ হওয়ার আগে প্রিমিয়াম জমাদানকারী মারা গেলে আর প্রিমিয়ার পরিশোধ না করেও পূর্ণ অর্থ পেয়ে যাবেন তার পরিবার।
২. শিশু বীমা পরিকল্পনা
পরিবার থেকে তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিপর্যয় রোধে এই পদ্ধতি বেশ কাজে আসে। সেদিক বিবেচনায় মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতিটি সন্তানের জন্য বীমা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও পরিবারের উপার্জন কম থাকলে এটি করা বেশ কষ্টকর হয়।
৩. এনডাউমেন্ট প্ল্যান
৪. গ্রুপ বীমা পরিকল্পনা
৫. মানি ব্যাক প্ল্যান
৬. অবসর পরিকল্পনা
এটির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হলো অবসর গ্রহণ পরিকল্পনা। এটি আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা প্রদানের উপর চাকাস করে। আপনি অবসর নেওয়ার পরে আপনি চাকরি থেকে আপনার নিয়মিত আয় হারাবেন। অবসর পরিকল্পনায় বিনিয়োগ আপনাকে একটি স্থিতিশীল নিয়মিত আয়ের ধারা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
জীবন বীমা কেনো প্রয়োজন?
ব্যক্তির যদি জীবন বীমার কয়েকটি পলেসি থাকে তাহলে ওই পরিবার বেশ মোটা অংকের একটি মূল ধন পেয়ে যাবেন। যেটির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা নতুন কিছু করার সুযোগ পাবেন। জীবন বীমার মাধ্যমে নিজের সকল বিপদ থেকে মৃত্যুর পর পরিবারকে রক্ষা করে।
এটির মাধ্যমে পরিবারে খুব দ্রুত দুর্যোগ নামতে পারে না। সার্বিকভাবে জীবন বীমা সকল মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন একটি প্রকল্প।
আজ এ পর্যন্তই। দ্য ব্যাকস্পেস জার্নালের সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






