মোবাইল ব্যাংকিং কি? এর ইতিহাস ও সুবিধা সম্পর্কে জানুন
বর্তমানে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বাস করছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। আমাদের সকল কাজের জন্য মূলত একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। সেটি হলো মোবাইল। এই ক্ষুদ্র যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা বর্তমানে সকল কাজ খুব সহজে ও অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে পারি। বর্তমানে এই ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্ষেত্রের সকল সেবা গ্রহণ ও প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এতে করে আমাদের সময় যেমন কম অপচয় হচ্ছে তেমনি কোন ঝুঁকি ছাড়া অনেক বড় অংকের টাকা খুব সহজে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বাস করছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। আমাদের সকল কাজের জন্য মূলত একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। সেটি হলো ‘মোবাইল’ বা ‘স্মার্টফোন’। এই ক্ষুদ্র যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা বর্তমানে সকল কাজ খুব সহজে ও অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে পারি।
বর্তমানে এই ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্ষেত্রের সকল সেবা গ্রহণ ও প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এতে করে আমাদের সময় যেমন কম অপচয় হচ্ছে তেমনি কোন ঝুঁকি ছাড়া অনেক বড় অংকের টাকা খুব সহজে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে। যে কোন সময় নিজের মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করার এক অনন্য সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং এর ইতিহাস
বিশ্বে প্রথম ১৯৯৯ সালে মোবাইল ওয়াপ পদ্ধতির মাধ্যমে স্মার্টফোন নেটওর্য়াক ব্যবহার করে ইউরোপীয়ান ব্যাংকে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। খুব সহজে এই পদ্ধতিতে আমরা দ্রুত বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠাতে পারি। ফলে এই পদ্ধতি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রাহকের কাছে।
বাংলাদেশে ২০১০ সালে এই পদ্ধতির যাত্রা শুরু করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এটি ছাড়াও এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান বিকাশ বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই বিকাশের মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণ মোবাইল ব্যাংকি সেবার আওতায় দ্রুত যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং
এই পদ্ধতির গ্রাহক সংখ্যা হলো দেশের ১৫ শতাংশ মানুষ। যা প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখের মত। এতে শতকরা ২ টাকা খরচ হয়। ২০১২ সালে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। যা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। পরে আরও নগদ, রকেট, এমক্যাশ, শিওরক্যাশ সহ ১৫টির বেশি কোম্পানি এ সেবা দিয়ে আসছে।
তবে দেশের লেনদেনের প্রায় ৭০ শতাংশ লেনদেন হয় বিকাশের মাধ্যমে। তবে দেশের ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর বাজার
প্রতি মাসে এই পদ্ধতিতে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মত। গত এক বছরে এই খাতে গ্রাহক বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ২৬.৩৫ শতাংশ এবং এজন্টে বেড়েছে ৬.২১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, প্রতিদিন এ পদ্ধতিতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা
বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে আগে শুধু একই ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন করা যেত। কিন্তু বর্তমানে সকল প্রতিষ্ঠান অন্য ব্যাংকেও লেনদেন করার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার আভাস দিয়েছে। এতে করে আরো বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবে গ্রাহকরা।
ইউটিলিটি বিলগুলো - গ্যাস, পানি ও ফোন বিল খুব সহজে পরিশোধ করা যায়। চেক বইয়ের আবেদন ও চেক পেমেন্ট বাতিল করা যায়। সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি জানা যায়। অ্যাকাউন্ট থেকে খুব সহজে লেনদেনের বিস্তারিত হিসাব সহজে পাওয়া যায়।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধাভুগীরা
কারণ এ সময়ে গ্রাহক অন্য কাজ করবেন তাতে দেশের মোট উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। যা অর্থনীতির চাকায় একটু একটু করে ধাক্কা দিতে সক্ষম হবে। এতে দেশের অভ্যন্তরীন অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।
শিক্ষার্থী ও মোবাইল ব্যাংকিং
এতে তাদের মধ্যে থেকে কারো শহরে যেতে হয় না অথবা শিক্ষার্থীদের গ্রামে আসতে হয় না। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের ফি এখন খুব সহজে এই পদ্ধতির মাধ্যমে জমা দেওয়া যায়।
গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষরা
আবার তারা ব্যাংক থেকে টাকা রাখতে বা তুলতে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হয়ে এই ব্যবস্থার বিমুখ হয়। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এর সহজ পদ্ধতি ও সুবিধা পেয়ে এই সেবার আওতায় আসছে। এতে দেশের লেনদেন আগের চেয়ে অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রবৃদ্ধি
এতে ব্যাংক ব্যবস্থায় অল্প খরচে গ্রাহকদের দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সুবিধা দিতে পারছেন প্রতিষ্ঠানগুলো। এই পদ্ধতির প্রসারের ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংক শাখা না থাকা সত্ত্বেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পরিশেষ
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






